23 Dec 2024, 04:18 am

ইসরাইলের সঙ্গে গাজার যুদ্ধ নয় ; মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের যুদ্ধ চলছে : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন: ১৯৭৯ সালের ১৩ নভেম্বর ছিল আমেরিকার প্রতি ইরানি জাতির চরম চপেটাঘাতের দিন।

জাতীয় ওই দিবসের প্রাক্কালে সমগ্র ইরান থেকে আসা একদল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে দেওয়া সাক্ষাত অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নেতা এ কথা বলেন। ওই দিনটি ইরানে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী জাতীয় দিবস এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ইমাম খোমেনী (রহ) হোসাইনিয়াতে দেওয়া ওই সাক্ষাতে তিনি বলেন: এই ঐতিহাসিক দিনে ইসলামি বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (রহ) কে ষ্বৈরাচারী শাহ সরকার নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। ক্যাপিচুলেশন আইনের বিরোধিতা করায় তাঁকে শাহী জান্তা নির্বাসনে দিয়েছিল।

তাসনিম বার্তা সংস্থা আরও জানিয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: ফার্সি অবন মাসের ১৩ তারিখে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ঘটনার দ্বিতীয়টি ছিল, এই দিন আমেরিকা ইরানি ছাত্রদের ওপর হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল।

বিপ্লব বিজয়ের ১০ মাস পর ১৯৫৮ সালের ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া মার্কিন দূতাবাস দখল করে এবং সেই দূতাবাসের গোপন নথি ফাঁস করে দেয়। ওই ঘটনায় আমেরিকার সুনাম নষ্ট হয়। তিনি বলেন: মার্কিন দূতাবাস দখলের ঘটনা ছিল আমেরিকার প্রতি ইরানি জাতির চরম আঘাত।

ছাত্র সমাবেশে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী

গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি হামলার কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: সেখানে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ নয় বরং সত্যের সঙ্গে খোদাদ্রোহী শক্তির যুদ্ধ চলছে। সর্বোচ্চ নেতার কার্যালয় জানিয়েছে; ছাত্রদের ওই সমাবেশে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন: গাজার জনগণ ধৈর্যের সাথে বিশ্বমানবতা বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন: পশ্চিমা দেশগুলিতে এমনকি ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, খোদ আমেরিকার বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মানুষ রাজপথে নেমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এবং বহু ক্ষেত্রে আমেরিকার বিরুদ্ধেও স্লোগান দিচ্ছে।

আমেরিকান দূতাবাস থেকে পাওয়া নথিপত্র সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: দলিলগুলো এখন গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়েছে। ৭০ থেকে ৮০টি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেইসব নথিতে দেখা গেছে বিপ্লব বিজয়ের পরদিন থেকেই আমেরিকার দূতাবাস ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও গুপ্তচরবৃত্তির আখড়া হিসেবে কাজ করেছে। এমনকি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র এবং গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনাও আমেরিকার দূতাবাসেই করা হয়েছিল।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী জোর দিয়ে বলেন: তার মানে হল আমেরিকার দূতাবাস ইরানের বিরুদ্ধে এবং বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কেন্দ্র ছিল। ছাত্রদের মাধ্যমে গুপ্তচরবৃত্তির আস্তানা ধ্বংস হওয়া ইরানের সঙ্গে মার্কিনীদের শত্রুতার কারণ-এ কথা সত্য নয়। তিনি বলেন: ইরানের বিরুদ্ধে শত্রুতার সাথে গুপ্তচরবৃত্তির আস্তানা ধ্বংসের কোনো যোগসূত্র নেই। তিনি ইতিহাস টেনে বলেন: দূতাবাসের ঘটনার ২৬ বছর আগে ২৮ আগস্টেও অভ্যুত্থান ঘটেছিল; সেদিন দূতাবাসে কেউ যায় নি!

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 6429
  • Total Visits: 1412905
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1675

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)
  • ২০শে জমাদিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, ভোর ৪:১৮

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
      1
23242526272829
3031     
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018